en

আধুনিক শিক্ষা ক্ষেত্রে বিজ্ঞান । পড়াশোনায় বিজ্ঞানের অবদান

শিক্ষা ক্ষেত্রে বিজ্ঞানের অবদান বলে শেষ করা যাবে না। বর্তমানে আমরা যেই শিক্ষা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি তার পুরোটাই বিজ্ঞানের অবদান। পড়াশোনার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত খাতা কলম থেকে শুরু করে বর্তমানে ডিজিটাল ক্লাসরুম পর্যন্ত সবটাই বিজ্ঞানের অবদান। বর্তমানে যেকোনো বিষয় শেখার জন্য আর প্রতিষ্ঠানের উপর নির্ভর করতে হয়না। ঘরে বসে খুব সহজেই যেকোনো কিছু শেখা যায়।

শিক্ষার সারঞ্জাম তৈরি

শিক্ষাক্ষেত্রে আমরা যে সকল উপকরণ ব্যবহার করি যেমন বই, খাতা, কলম, পেন্সিল, রাবার, স্কেল ইত্যাদি এক দিনে কিংবা এমনি এমনি তৈরি হয়ে যায় নি। আগেকার সময় মানুষ লেখার জন্য দোয়াত কালি ব্যবহার করতো।

সময়ের বিবর্তনের সাথে সাথে বিজ্ঞানের কল্যাণে আমরা কলম তৈরি এবং কলমের ব্যবহার শিখি। তাছাড়া খাতা কাগজ সবকিছু একই ধারায় উন্নত হয়েছে। প্রাচীন যুগে মানুষ লেখালেখিই জানত না প্রযুক্তিতো দুরের কথা এমকি মধ্য যুগেও লেখার জন্য মানুষ বিভিন্ন পশুর চামড়া, গাছের পাতা এবং আরও অন্যান্য প্রাকৃতিক উপকরণ ব্যবহার করতো।

পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তৈরি

শিক্ষা ক্ষেত্রে বিজ্ঞানের উন্নয়নের ফলে বর্তমান মুদ্রণ কাজে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। পঞ্চাশ বছর আগেও মুদ্রণ কাজ এতো সহজ ছিল না।

টাইপ রাইটারের মাধ্যমে লেখা মুদ্রণ করতে হতো কিন্তু বর্তমানে আধুনিক মদ্রন যন্ত্রের আবিষ্কার এবং কম্পিউটারে মুদ্রণের কারনে খুব অল্প সময়ে এবং কম খরচে লক্ষ লক্ষ কপি ছাপা করা যাচ্ছে। পরীক্ষার প্রশ্ন তৈরি এবং পাঠ্যপুস্তক তৈরির কাজে এই প্রযুক্তি যুগান্তকারী পরিবর্তন এনেছে।

পরীক্ষার ফলাফল তৈরি

বর্তমানে সব ধরণের পরীক্ষার ফলাফল তৈরির জন্য আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার লক্ষণীয়। এমনকি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র যাচাই করার ক্ষেত্রেও উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার লক্ষণীয়।

বহুনির্বাচনী প্রশ্নের উত্তর যাচাই করার জন্য ওএমআর মেশিন ব্যবহার করা হয়। পরীক্ষার ফলাফল তৈরির ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহারের ফলে সময় এবং শ্রমের সাশ্রয় হয়েছে।

পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ

পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তৈরি থেকে শুরু করে প্রশ্নপত্র যাচাই, ফলাফল তৈরি এবং ফলাফল প্রকাশ পর্যন্ত সবক্ষেত্রেই বিজ্ঞানের বিশাল অবদান রয়েছে। ইন্টারনেটের মাধ্যমে খুব সহজেই পরীক্ষার ফলাফল প্রত্যাশীদের কাছে পৌঁছে দেয়া যায়।

এখন ঘরে বসে মুহূর্তের মধ্যে যেকোনো প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার ফলাফল জানা যায়। তাছাড়া বিভিন্ন পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য আবেদন করার ক্ষেত্রেও ইন্টারনেট ব্যবহার করা হয়।

প্রেজেন্টেশন তৈরি

বর্তমান আধুনিক এবং উচ্চশিক্ষার জন্য বিভিন্ন ধরণের ক্লাস প্রেজেন্টেশন তৈরি করতে হয়। এই প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে সহজে কোন বিষয় ছাত্রছাত্রীদের সামনে উপস্থাপন করা যায়।

মাইক্রোসফট অফিস পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে খুব সহজেই নান্দনিক ক্লাস প্রেজেন্টেশন তৈরি করা যাচ্ছে। তাছাড়া প্রেজেন্টেশন পড়াশোনা ছাড়াও ব্যবসা বাণিজ্যসহ সকল গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যবহৃত হয়।

মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম

মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম হচ্ছে যেখানে ভিডিও প্রোজেক্টরের মাধ্যমে ক্লাস নেয়া হয়। বর্তমান সময়ে অধিকাংশ উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শ্রেণীকক্ষেই মাল্টিমিডিয়া সিস্টেম চালু আছে।

সারাদেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ কারা হয়েছে। এর মাধ্যমে অল্প সময়ে অধিক সংখ্যক তথ্য উপস্থাপন করা যায়। তাছাড়া এই পদ্ধতিতে পাঠদান করলে শিক্ষার্থীদের মনোযোগ বেশি থাকে এবং শিক্ষার্থীরা স্কুলমুখী হয়।

বিভিন্ন তথ্য প্রাপ্তি

একটা সময় ছিল যখন শিক্ষার্থীরা শুধুমাত্র পাঠ্যপুস্তকের উপর নির্ভর থাকত। এখন পড়াশোনার জন্য আর পাঠ্যপুস্তকের উপর নির্ভর করতে হয় না। ইন্টারনেটের মাধ্যমে যেকোনো সময় যেকোনো তথ্য পাওয়া খুবই সহজ। ইন্টারনেটে তথ্য প্রাপ্তির সুবিধা সীমাহীন।

শিক্ষার বিশ্বায়ন

তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়নের ফলে শিক্ষার আওতা ব্যাপকতর হচ্ছে। এখন এক দেশে থেকে অন্য দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করা যাচ্ছে। ইন্টারনেটের মাধ্যমে ক্লাস পরীক্ষা সবকিছু সম্পন্ন করা হচ্ছে।

তাছাড়া বিদেশে উচ্চ শিক্ষার জন্য ভর্তি হওয়ার ক্ষেত্রে ইন্টারনেট যুগান্তকারী পরিবর্তন এনেছে। প্রযুক্তির উন্নয়নের ফলে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের প্রতিষ্ঠানে বিদেশি শিক্ষার্থীরা জ্ঞানার্জন করছে বিশেষ করে উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে।

আরও পড়ুন:-

কপিরাইট © ২০১৮ রংতুলি চয়েস ইনফো